মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকাশিত নিবন্ধ
শিশুর বেড়ে ওঠায় বাবা-মা'র আচরণ
Read Article
সন্তানের আচরন-মা বাবা'র ভূমিকা
Read Article
শিশুর প্রথম স্কুলঃ চাই মানসিক প্রস্তুতি
Read Article
একা থাকা শিশু
Read Article
অটিস্টিক শিশুর চিকিৎসা কৌশল
Read Article
ফ্রাস্ট্রেশন কাটাতে, ফ্রাস্ট্রেশন হঠাতে
Read Article
কিশোর বয়সে আত্নহত্যা
Read Article
কিশোর বয়সের অপরাধ
Read Article
ক্ষোভ : কারন ও দমন
Read Article
অসুখ: দেহ ও মনে
Read Article
জিনে ধরা আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিস্টিরিয়া বা এই পর্যায়ের কোনও অসুস্থতা
Read Article
অভিভাবকসুলভ অথরিটি নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানদের সঙ্গে মিশতে হয়
Read Article
স্বাস্থ্যকর ঘুমের নিয়মনীতি (Sleep Hygiene)
Read Article
ঘুম
জীবনের প্রায় তিন ভাগের একভাগ আমরা ঘুমিয়ে কাটাই। পর্যাপ্ত ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। নৈমিত্তিক জীবনের নানা কারনে এবং প্রায় সকল ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগেই ঘুমের সমস্যা হয়। আমাদের দেহঘড়ির ছন্দ ঠিক রাখা- সুস্থ থাকা ও সুস্থ হবার একটা প্রধান উপায়। এই ঘড়ির ছন্দের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া ও ঠিকমতো ঘুমানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের নিয়মনীতি (Sleep Hygiene) :
নিচের নির্দেশনা গুলি ঠিক মতো পালন করলে স্বাস্থ্যকর ঘুম উপভোগ , ঘুমের সমস্যা প্রতিকার, কম ঘুম ও ভাঙ্গা-ভাঙ্গা ঘুম ইত্যাদি ঠিক করা যায়। তবে, নিচের দেয়া নিয়মগুলি মারাত্নক মানসিক রোগ (Psychotic disorder) বা বিষণ্ণতা বা অন্য কোন মানসিক রোগ এর কারনে হওয়া অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যার প্রতিকার নয়। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।
শিশুদের (০ থেকে ১২ বছর) জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমের ১০ টি বিধিঃ
১। প্রতি রাতে একই সময় ঘুমানোর জন্য যাবে। রাত নয়-টার আগে হলে ভালো হয়।
২। দিনের বেলায় শিশুর বয়স অনুসারে হালকা ঘুমের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন।
৩। শিশুর ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন।
৪। আপনার শিশুর ঘরটি ঘুমানোর পরিবেশ উপযোগী যেমনঃ শীতল, অন্ধকার ও শব্দহীন করুন।
৫। শিশুকে নিজে নিজে ঘুমানোর জন্য উৎসাহ দিন।
৬। রাতে ও ঘুমানোর সময় হালকা আলো এবং সকালবেলা ঘর উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত রাখুন।
৭। শিশুকে ঘুমানোর ঠিক আগে ভারী খাবার ও ভারী ব্যায়াম করতে দিবেন না।
৮। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমনঃ টেলিভিশন, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন শিশুর শোবার ঘরের বাইরে রাখুন এবং ঘুমানোর আগে এসব ব্যবহার হতে শিশুকে দূরে রাখুন।
৯। ঘুমানোর আগে শিশুকে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমনঃ চা, কফি, চকোলেট, সোডা জাতীয় পানীয় ইত্যাদি) খাওয়াবেন না।
১০। প্রতিদিনের রুটিনে খাবার সময় নির্দিষ্ট থাকবে এবং শিশু তা মেনে চলবে।
প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমের ১০ টি বিধিঃ
১। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন ও একই সময়ে ঘুম থেকে উঠবেন।
২। যদি আপনার দিনে বা বিকালে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তবে তা যেন ৪৫ মিনিটের বেশি না হয়।
৩। বিছানায় যাবার আগে ধূমপান করবেন না।
৪। বিছানায় যাবার আগের ৬ ঘন্টায় ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমনঃ চা, কফি, চকোলেট, সোডা জাতীয় পানীয় ইত্যাদি) খাবেন না।
৫। বিছানায় যাবার আগের ৪ ঘন্টায় ভারী, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত বা অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাবেন না। তবে হালকা নাস্তা খাওয়া যাবে।
৬। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তবে, ঘুমাতে যাবার ঠিক আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
৭। আরামদায়ক বিছানায় ঘুমাবেন।
৮। আপনার শোবার ঘরের তাপমাত্রা যেন আপনার জন্য আরামদায়ক হয় এবং ঘরে যেন মুক্ত বায়ু চলাচলের সুবিধা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৯। শোবার ঘরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন শব্দ যেন না হয় সেদিকে নজর রাখুন এবং ঘরটি যথাসম্ভব অন্ধকার রাখুন।
১০। আপনার বিছানাটি শুধুমাত্র ঘুমের ও যৌনকর্মের জন্য বরাদ্দ রাখুন। বিছানা পেশাগত কাজ, খোশগল্প বা বিনোদনের জন্য ব্যবহার করবেন না।
ঘুমের জগত হোক ছন্দময় ও আনন্দের